উজ্জ্বলা গ্রাহকদের বাঁচাতে ৫ কেজির ছোট সিলিন্ডার
দেওয়ার ভাবনা কেন্দ্রের
এলপিজি সিলিন্ডারের মাত্রাছাড়া দাম বৃদ্ধির ফলে উজ্জ্বলা
গ্যাস গ্রাহক বহু গরিব মানুষ গ্যাসে রান্না বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প জ্বালানিতে ফিরে
গিয়েছে। সবথেকে বড় যে চিন্তা কেন্দ্রীয় সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়েছে, সেটি হল,
কেরোসিন, কাঠ, শুকনো ডালপালার মতো পুরনো বিকল্প জ্বালানির দিকে আবার গরিব
মানুষের একাংশ ঝুঁকেছে। কারণ একটাই। রান্নার গ্যাসের অতিরিক্ত দাম। এদিকে
কেরোসিনের ভর্তুকিও বন্ধ হয়ে যাবে বলে কেন্দ্র আগেই জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী
উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ সাফল্য প্রচারেরই একটি প্রকল্প।
কিন্তু বিগত কয়েকমাস ধরে যেভাবে রান্নার গ্যাসের দাম
আকাশ ছুঁয়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না সাধারণ মধ্যবিত্তই। সেখানে
নিম্নবিত্ত ও গরিব মানুষের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। এই কারণেই উজ্জ্বলা স্কিমে পাওয়া
রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে নিয়ম করে গ্যাস পূর্ণ করার হার ক্রমেই কমছে। এই
সমস্যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারও সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, কীভাবে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরকারের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই
ইস্যুতে প্রধান যে বিকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে সেটি হল, ডোমেস্টিক গ্যাস
সিলিন্ডারেও এবার ৫ কেজির সিলিন্ডার প্রদান করার ব্যবস্থা চালু করা হোক। বিশেষ করে
উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনায় সিলিন্ডার প্রতি গ্যাসের দাম যাতে এক মাসের মধ্যে
নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই ৫ কেজির সিলিন্ডারের কথা ভাবা
হয়েছে।
বর্তমানে ডোমেস্টিক অর্থাৎ বাড়িতে ব্যবহারের জন্য রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের ওজন হয় ১৪.২ কেজি। আর খোলা বাজারে যে এলপিজি সিলিন্ডার পাওয়া যায় সেই ফ্রি ট্রেড এলপিজির ৫ কেজির সিলিন্ডার হয়। যদিও ওজনের নিরিখে দেখা যায় ফ্রি ট্রেড এলপিজির ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৭৫ টাকা হয়। কিন্তু ডোমেস্টিক ব্যবহারের এলপিজির ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে দাম পড়ে প্রায় ৬০ টাকা। কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রককে বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার প্রতি দাম ৮২৫ টাকা হওয়ায় গরিব মানুষের পক্ষে তা ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে। যদিও একটি সিলিন্ডার একমাসের বেশি সময় ধরেই ব্যবহৃত হয়।
0 Comments