মাসে ১০০০ টাকা পেনশন দিতে আসছে নতুন সরল পেনশন প্রকল্প
বাজারচলতি পেনশন স্কিমের সংখ্যা অনেক। তালিকায় পিএফ, ন্যাশনাল পেনশন
সিস্টেম বা অটল পেনশন যোজনার মতো সরকারি প্রকল্প আছে। বিভিন্ন সংস্থাও নানান পেনশন
প্রকল্প বাজারে এনেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের অভিযোগ, পরিষেবার ভারে সবকিছুই যেমন
জটিল, তেমনই ব্যয়সাপেক্ষ। অন্যদিকে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে
পেনশনের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। তাকে মান্যতা দিতে বাজারে আসছে সরল পেনশন প্রকল্প। এ
ব্যাপারে এবার উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনসিওরেন্স
রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (IRDAI) রাষ্ট্রায়ত্ত এবং
বেসরকারি সব জীবন বিমা সংস্থাকে এই পলিসি আনার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে। এমন প্রকল্প আনতে হবে, যেখানে
শুধুমাত্র পেনশনের সুবিধাই মিলবে। অন্য কিছু নয়। এতে বিমা পলিসির খরচ যেমন কমবে,
সঙ্গে গ্রাহকের হাতেও পেনশন বাবদ বেশি টাকা আসবে। প্রতিমাসে ন্যূনতম এক হাজার টাকা পেনশন যাতে মেলে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার জন্য
এককালীন টাকা জমা করতে হবে গ্রাহককে। ন্যূনতম প্রিমিয়াম দু’লক্ষ টাকার নীচে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিমা
নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
নতুন এই প্রকল্পে কী কী সুবিধা
পাওয়া যাবে?
(১) বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানাচ্ছে, মাসিক, তিন মাস অন্তর, বছরে দু’বার
অথবা বছরে একবার পেনশন পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। গ্রাহক নির্দিষ্ট ‘অপশন’ বেছে নিতে
পারবেন।
(২) যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন, ততদিনই পেনশন পাবেন।
(৩) প্রিমিয়াম বাবদ এককালীন যে টাকা জমা করছেন, গ্রাহকের মৃত্যুর পর তার
পুরোটাই পাবেন ‘নমিনি’।
(৪) যেহেতু এটি শুধুমাত্র পেনশন প্রকল্প, তাই এক্ষেত্রে কোন ডেথ বেনিফিট বা
মৃত্যুকালীন আর্থিক সুবিধা নেই।
(৫) যুগ্মভাবে বা জয়েন্ট পলিসি করা যায়। সেক্ষেত্রে প্রথম গ্রাহক মারা
যাওয়ার পর দ্বিতীয় গ্রাহক চাইলে পেনশন নিতেও পারেন।
(৬) পাশাপাশি পুরো টাকা তুলেও নেওয়ার স্বাধীনতাও থাকবে। এর বাইরে আর কোনও
পরিষেবা দেওয়া হবে না।
(৭) তবে জমা করা টাকার উপর ঋণ নেওয়ার সুবিধা থাকবে।
(৮) এই বিমা প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য গ্রাহকের বয়স হতে হবে অন্তত ৪০ বছর। (৯) সর্বাধিক ৮০ বছর পর্যন্ত এই পলিসিতে অংশগ্রহণ করা যাবে।
(১০) প্রিমিয়াম কত হবে, তা ঠিক করবে সংস্থাগুলি। তবে এর জন্য একটি গাইড
লাইন সামনে এনেছে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
(১১) সেখানে বলা হয়েছে, ন্যূনতম মাসিক এক হাজার টাকা পেনশন দেওয়ার জন্য
প্রিমিয়ায়ের অঙ্ক দু’লক্ষ টাকার নীচে রাখতে হবে।
(১২) তবে প্রিমিয়াম বা পেনশনের কোন উর্ধ্বসীমা থাকছে না।
(১৩) বিমা বিশেষজ্ঞদের দাবি, যেহেতু এই প্রকল্পে কোনও জটিলতা বা
মৃত্যুকালীন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই, তাই এখানে জমা করা টাকা
রিটার্ন অনেক বেশি। ফলে অন্যান্য বাজারচলতি প্রকল্পের থেকে আর্থিকভাবে বেশি উপকৃত
হবেন গ্রাহক।
আরও
বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওতে ক্লিক করুন
0 Comments