দূরদর্শনে
নবম-দ্বাদশের ক্লাস নেবেন
শিক্ষকরা: পার্থ
দূরদর্শনে শুধু রামায়ণ, মহাভারত বা শক্তিমান দেখাই নয়, পড়াশোনাও করতে
হবে ছাত্রছাত্রীদের, এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। শুক্রবার
সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবম থেকে একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য বিকেল ৪টে থেকে ৫টা পর্যন্ত
দূরদর্শনে ক্লাস হবে। ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল এই ক্লাসগুলি চলবে। নামী শিক্ষকরা সেখানে
পড়াবেন।
ক্লাস চলাকালীন ছাত্রছাত্রীরা ফোন, ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ
বা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে প্রশ্নও করতে পারবে। ক্লাস শেষে মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
দেওয়া হবে, সেটা শেষ করে স্কুল খোলার পর শিক্ষকদের হাতে
তা দিতে হবে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর জন্যও থাকবে অ্যাক্টিভিটি টাস্ক। প্রথম
সামেটিভ পরীক্ষার পাঠ্যসূচি থেকে প্রতিটি বিষয়ে সেই টাস্ক দেওয়া হবে। ১৪ এপ্রিল তা
শেষ করে শিক্ষকদের হাতে দিতে হবে। এটা বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ৬ এপ্রিল থেকে
পর্যায়ক্রমে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পার্থবাবু। স্কুলের শিক্ষকরা প্রয়োজনে সেই
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কে পরিবর্তন আনতে পারেন। কিন্তু তা হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেল বা অন্য কোনও প্রযুক্তিগত উপায়ে পড়ুয়াদের মধ্যে পৌঁছে দিতে হবে।
পড়ুয়ারা বাড়ির বাইরে বেরবে না। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইতিমধ্যেই দূরশিক্ষা
পদ্ধতিতে ক্লাস হচ্ছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। কোথায় কেমন ক্লাস হচ্ছে, সেই রিপোর্টও সংগ্রহ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সিবিএসই
এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যের পথে হেঁটে প্রথে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী
পর্যন্ত পাশফেল আপাতত তুলে দিল সিআইএসসিই। কাউন্সিলের অধীন স্কুলগুলি (চলতিভাবে
আইসিএসই স্কুল বলে পরিচিত)-র পরীক্ষা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। অনলাইনে রেজাল্ট
বিতরণের কাজ চলছে। সেই পরীক্ষাতেই আর কাউকে আটকানো হচ্ছে না বলে স্কুলগুলির তরফে
জানানো হচ্ছে।
সিআইএসসিই-র চিফ এগজিকিউটিভ এবং সেক্রেটারি শুক্রবার স্কুলের
অধ্যক্ষদের যে চিঠি পাঠিয়েছেন, সেটাকে
নির্দেশ নয়, পরামর্শ হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছেন। তবে এও
বলেছেন, রাজ্য যেমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তার সঙ্গে যেন আইসিএসই স্কুলগুলিও সামঞ্জস্য রাখতে চেষ্টা করে।
সত্ত্বর আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসআপ গ্রুপে এক্ষুনি যুক্ত হয়ে যান
এই বিষয়টি যদি আপনি
সরাসরি দেখতে চান তাহলে নীচে দেওয়া ভিডিওতে ক্লিক করুন ও ভালো লাগলে আমাদের
চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন।