রেশনে খাদ্যবণ্টনে বিশৃঙ্খলা
এড়াতে কঠোর নজরদারি, ভিড় ঠেকাতে টোকেন বিলি হবে
রেশন
দোকানে বিনা পয়সায় খাদ্যসামগ্ৰী দেওয়াকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও গন্ডগোল ও
বিশৃঙ্খলা না বাধে তার জন্য নজরদারি জোরদার করা হচ্ছে। পয়লা এপ্রিল থেকে শুধু
রেশন কার্ডে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১০ তারিখ থেকে তাতে ফুড কুপন প্রাপকরা
যুক্ত হবেন, ফলে রেশন দোকানে ভিড়
আরও বাড়বে। কার্ড ও কুপন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে আট কোটি মানুষ বিনা পয়সায় চাল
এবং গম বা আটা নিতে পারবেন। সুলভ মূল্যে খাদ্য নিতে পারবেন আরও প্রায় দেড় কোটি
মানুষ।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে রেশন নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগও
সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছিয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ডিলারদের বিরুদ্ধে কম
পরিমাণে মাল দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
জানিয়েছেন, ২৮ জন ডিলারের
বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগগুলি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কোনও ডিলার বেআইনি কাজ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এর পাশাপাশি রেশন ডিলারদের কাছ
থেকে জোর করে হুমকি দিয়ে চাল, গম
নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও উঠছে। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোকেরা এই কাজে মদত
দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
অল ইন্ডিয়া ফেয়ারপ্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক
বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, কয়েকটি
নির্দিষ্ট অভিযোগ তাঁরা খাদ্যদপ্তরে জমা দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রীও
জানিয়েছেন, এসব বরদাস্ত করা হবে
না। যেখানেই এরকম ঘটনা ঘটবে, সেখানেই
রাজনীতির রং না দেখে পুলিসকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেশন
দোকানে ভিড় কমানো নিয়েও সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। কুপনে খাদ্য দেওয়া
শুরু হলে ভিড় সামলাতে টোকেন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে দপ্তর।
ডিলারদের সংগঠনও এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে।
ডিলারদের সংগঠনও এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে।
রেশন দোকান দুই দফায় খোলা থাকে। এখন সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে না। প্রতি
দফায় খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক টোকেন ইস্যু করা হবে দোকান থেকে।
টোকেন দেওয়া হলে আর লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। করোনা সংক্রমণ
আটকাতে লম্বা লাইনে মানুষের ভিড় এড়াতে চাইছে সরকার। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত ঠিক হয়েছে আটা একসঙ্গে ১৫ দিনের
বরাদ্দ দেওয়া হবে। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে আটা নিয়ে গেলে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার
আশঙ্কা থাকে।
বণ্টনের ক্ষেত্রে নজরদারি করতে ইতিমধ্যে খাদ্যদপ্তর সব জেলায় একজন
বিশেষ আধিকারিক নিযুক্ত করেছে। ওই আধিকারিক প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন। চলতি
সপ্তাহ থেকে জেলা অফিসগুলোতে দপ্তরের অধিকাংশ কর্মীকে কাজে আসতে বলা হয়েছে।
নজরদারি আরও বাড়ানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
সত্ত্বর আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের
হোয়াটসআপ গ্রুপে এক্ষুনি যুক্ত হয়ে যান
Whatsapp Group- AET
Support Team 1- 👉
Whatsapp Group- AET
Support Team 2- 👉
Whatsapp Group- AET
Community- 👉
এই বিষয়টি যদি আপনি সরাসরি দেখতে চান তাহলে নীচে দেওয়া ভিডিওতে ক্লিক করুন ও
ভালো লাগলে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন।