১৫ এপ্রিল থেকে রেলযাত্রার অনলাইন বুকিং চালু


১৫ এপ্রিল থেকে রেলযাত্রার অনলাইন বুকিং চালু
আগামী ১৫ এপ্রিল এবং তার পরবর্তী যে কোনও তারিখের ট্রেন টিকিট বুককরতে পারবেন যাত্রীরা। দেশজোড়া লকডাউন ঘোষণার পরেও ১৫ এপ্রিল কিংবা তার পরবর্তী কোনও তারিখের ট্রেন টিকিট বুকিংয়ের পরিষেবা কখনওই বন্ধ হয়নি।আজ এ কথা জানিয়েছেন রেলবোর্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি। তবে লকডাউনের কারণে এই মুহূর্তে বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনের PRS (প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম) কাউন্টারগুলি বন্ধ থাকায় আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের টিকিট কাটতে পারবেন না যাত্রীরা। শুধুমাত্র অনলাইনেই ই-টিকিট বুকিং করতে পারবেন তাঁরা। এই ইস্যুতে এদিনই একটি লিখিত বিবৃতিও জারি করা হয়েছে রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘চাইলে যে কোনও যাত্রী আগামী ১৫ এপ্রিল এবং তার পরবর্তী তারিখের ট্রেন টিকিট অনলাইনে কেটে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাঁদের কোনও সমস্যা হবে না। 


করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় সারা দেশে ২১ দিনের লকডাউনের সময়সামী শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ এপ্রিল। করোনা সংক্রমণ যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই লক্ষ্যে গত ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণামতো জনতা কার্ফুপালিত হয়। খুব অল্প সংখ্যক ট্রেন ছাড়া ওইদিন যাবতীয় ট্রেন পরিষেবা বাতিল করে দেয় রেলমন্ত্রক। এবং ওইদিনই রেলমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, কলকাতা মেট্রো এবং শহর ও শহরতলির লোকাল ট্রেন সহ ৩১ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সমস্ত ট্রেন পরিষেবা বাতিল থাকবে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই পরবর্তী ২১ দিনের জন্য দেশে সম্পূর্ণ লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যা মেনে রেলমন্ত্রকও ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত করে দেয়। একইসঙ্গে ওই তারিখ পর্যন্ত রেলের সমস্ত PRS কাউন্টার, ওয়ার্কশপ, ইউনিটগুলিকেও বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রক। এরপরেই যাত্রীদের একটি বড় অংশের মধ্যে তীব্র ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়, লকডাউনের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, অর্থাৎ আগামী ১৫ এপ্রিল কিংবা তার পরবর্তী কোনও তারিখে কেউ যদি ট্রেনে সফর করতে চান, তাহলে তিনি কি টিকিট বুক করতে পারবেন? এই সংক্রান্ত যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটিয়ে রেলমন্ত্রক আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘লকডাউনের পর টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে কোনওরকম বিধিনিষেধ এর আগে জারিই করা হয়নি। যাত্রীরা চাইলেই টিকিট কাটতে পারবেন। আপাতত শুধুমাত্র অনলাইনে ই-টিকিট কাটতে পারবেন। ১৪ এপ্রিলের পর PRS কাউন্টারগুলি খুললে স্টেশনে গিয়েও টিকিট কাটতে পারবেন তাঁরা।



রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিক রাজেশ ডি বাজপেয়ি বলেছেন, ‘আগামী ১৪ এপ্রিলের পর কেন্দ্রীয় সরকার যদি নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেইমতো পদক্ষেপ করবে রেল। কিন্তু তা যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আগামী ১৫ এপ্রিল এবং তার পরের যে কোনও তারিখের ট্রেন টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা।অন্যদিকে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জোগান অব্যাহত রাখার উদ্দেশ্যে মালগাড়ির পাশাপাশি দেশের যে মোট ২৮টি রুটে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক, আজ তার সময়সূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। তা মেনে দিল্লি-হাওড়া এবং যশবন্তপুর-হাওড়া (ভায়া চেন্নাই) রুটে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চলবে সপ্তাহে দুদিন।


সত্ত্বর আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের হোয়াটসআপ গ্রুপে এক্ষুনি যুক্ত হয়ে যান

এই বিষয়টি যদি আপনি সরাসরি দেখতে চান তাহলে নীচে দেওয়া ভিডিওতে ক্লিক করুন ও ভালো লাগলে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন।