ডেথ সার্টিফিকেট নিতে জমা করতে হবে মৃতের রেশন কার্ড



মৃতের রেশন কার্ড জমা পড়লে তবেই মিলবে ডেথ সার্টিফিকেট
প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার





মৃত রেশন গ্রাহকদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাঁদের কার্ড বাতিল করার জন্য আরও সক্রিয় হচ্ছে খাদ্যদপ্তর। পুরসভা ও পঞ্চায়েতের সঙ্গে সমন্বয় রেখে এব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড জমা পড়লে তবেই ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার ব্যবস্থা অনেকটাই চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া ২০১৯ সালে সাধারণভাবে প্রায় পাঁচ লক্ষ মৃত রেশন গ্রাহকের কার্ড বাতিল হয়েছে। এর পাশাপাশি বছরের শেষ দিকে দুই দফায় নতুন রেশন কার্ড, কার্ড সংশোধন করা প্রভৃতি কাজের জন্য রাজ্য জুড়ে বিশেষ শিবির চালানো হয়। সেখানে ফর্ম পূরণের মাধ্যমে পরিবারের কোনও মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে প্রায় ৭৪ হাজার মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে বলে খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু মৃত রেশন গ্রাহকের কার্ড বাতিল হয়নি বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। কারণ সরকারি হিসেবে রাজ্যে গড়ে বছরে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। সেই সংখ্যক কার্ড গত বছরে বাতিল হয়নি। তবে সব মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড ছিল না, এমনটাও হতে পারে।




গত কয়েক বছর ধরে মৃত রেশন গ্রাহকদের দ্রুত চিহ্ণিত করে কার্ড বাতিলের উপর জোর দিচ্ছে খাদ্যদপ্তর। এব্যাপারে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়। হাসপাতাল থেকে মৃত ব্যক্তিদের সম্পর্কিত তথ্য স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে সংগ্রহ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। এখন পঞ্চায়েত ও পুরসভার মাধ্যমে এই কাজ করার উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। পঞ্চায়েত ও পুরদপ্তরের সঙ্গে খাদ্যদপ্তরের এনিয়ে আলোচনা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ড জমা পড়লে তবেই ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করার ব্যাপারটি অনেকটাই চালু করা সম্ভব হয়েছে। যে মৃত ব্যক্তির কার্ড জমা পড়ছে তাদের সম্পর্কিত তথ্য যাতে পুরসভা-পঞ্চায়েত থেকে দ্রুত কেন্দ্রীয়ভাবে খাদ্যদপ্তরের কাছে চলে যায়, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন রেশন কার্ড ব্যবস্থা ডিজিটাইজড হয়ে গিয়েছে। ফলে মৃত রেশন গ্রাহকের সম্পর্কে জানতে পারলে অনলাইনে তাঁর কার্ডটি বাতিল করে দিতে পারবে খাদ্যদপ্তর। তখন ওই কার্ডের জন্যখাদ্য বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবারের কাছে কার্ডটি থেকে গেলেও সেটি কোনও কাজে লাগবে না। মৃত ব্যক্তিদের কার্ড বাতিল না হলে যথারীতি তাদের জন্য ভর্তুকিতে সরবরাহ চাল-গম বরাদ্দ হয়ে যায়। খাদ্যের একটা বড় অংশ পাচার হয়ে যায় বলে মনে করেন খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এতে বিপুল ক্ষতি হয় সরকারের।

মৃত ব্যক্তির রেশন কার্ডের বরাদ্দ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে রাজ্যের কোটা নির্দিষ্ট। এই প্রকল্পের যে গ্রাহকরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা গেলে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা যাবে। রাজ্য সরকারের নিজস্ব খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের গ্রাহকদের মধ্যে থেকে সেই শূন্যস্থান পূরণ করা হবে বলে খাদ্যদপ্তর ঠিক করেছে। এতে খাদ্যে ভর্তুকি খাতে রাজ্য সরকারের খরচ অল্প হলেও কমবে। সাধারণভাবে মৃত গ্রাহকদের চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে ভর্তুকি খাতে খরচ কমানো যাবে। এই কারণেই মৃত রেশন গ্রাহকদের দ্রুত চিহ্নিত করে দ্রুত কার্ড বাতিল করতে চাইছে খাদ্যদপ্তর। এখন বেশ কয়েক লক্ষ নতুন রেশন গ্রাহক যুক্ত হবেন। এতে ভর্তুকি খাতে সরকারের তহবিলে যে অতিরিক্ত চাপ পড়বে তা কিছুটা প্রশমিত করাই অন্যতম লক্ষ্য।


সংবাদপত্র থেকে গৃহীত

এই বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য জানতে হলে নীচের ভিডিওতে ক্লিক করুন ও ভালো লাগলে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।






Post a Comment

0 Comments