সরকারি চিকিৎসায় স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বাধ্যতামূলক | Latest Swasthya Sathi Update

সরকারি হাসপাতালে ভর্তির নতুন নিয়ম

জারি নির্দেশিকা

 রাজ্যবাসীকে ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ বা সার্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনার পথে

প্রথম ধাপ ছিল সকলের জন্য সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় পরিষেবা পাওয়া নিশ্চিত করা।

দ্বিতীয় ধাপ ছিল সকলের জন্য নিখরচায় স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প তথা স্বাস্থ্যসাথী চালু করা।

এবার ওই একই উদ্দেশ্যে আরও এক ধাপ অগ্রসর হল রাজ্য সরকার। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী বা যে কোনও সরকারি হেলথ কার্ড দেখানো বাধ্যতামূলক করার পথে এগিয়ে এল সরকার। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী, কেন্দ্রীয় সরকারের CGHS কার্ড, ESI কার্ড ইত্যাদি সরকারি হেলথ কার্ড দেখাতে হবে। এই মর্মে নির্দেশনামা জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন।   

স্বাস্থ্যদপ্তরের ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, যদি এই কার্ডগুলির একটিও রোগীর সঙ্গে না থাকে তাহলেও আধার নম্বর দিয়ে কার্ড সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে ভর্তি হওয়া সম্ভব হবে। আর যদি এইসব কার্ডের কোনটাই না থাকে চটজলদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির ব্যবস্থা হয়ে যাবে সেই সরকারি হাসপাতালেই। শুধু ভর্তিই নয়, সরকারি হাসপাতালে চালু পিপিপি মডেলে চালু রোগ এবং রক্তপরীক্ষা কেন্দ্রেও পরিষেবা পেতে এই একই নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, কার্ড না থাকলে চিকিৎসা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না।

উদ্দেশ্যঃ স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্তের পথে গেল স্বাস্থ্যভবন? ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, রাজ্যের রোগীদের নিয়ে একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্যসাথী বা যে কোনও সরকারি হেলথ কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা দিলে রোগীদের বা তাঁদের রোগ তো বটেই সামগ্রিকভাবে রাজ্যের মানুষের রোগ-ব্যাধি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরকারের কাছে থাকবে। শুধু তাই নয়, রোগীর আগে কী কী রোগ হয়েছিল, শারীরিক অবস্থা কেমন ইত্যাদি তথ্য জানা যাবে এক ক্লিকেই।

তবে বিশেষ সূত্রের খবর, এই কর্মসূচি চালু করে রাজ্য ভিন রাজ্যের বাসিন্দা কত রোগী বাংলায় এসে সরকারি হাসপাতালে নিখরচায় চিকিৎসা করাচ্ছেন সেই হিসাবও জেনে নিতে চায়। স্বাস্থ্যসাথী ও যে কোনও সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের বাইরে কতজন আছে সেই তথ্য জানা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা মানুষজন ওই কার্ডের টাকায় সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পেলে সরকারের নিখরচায় চিকিৎসা খাতে বাড়তি ব্যয় কমতে পারে।




Post a Comment

0 Comments