পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকলে কোনও ট্রেন
বাতিল করতে পারে রেল
পরিষেবা চালু হলেও পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকলে সংশ্লিষ্ট
ট্রেন বাতিল করে দিতে পারে রেলমন্ত্রক। এমনই পরিকল্পনা করছে রেল। একইসঙ্গে
আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন) সূত্রে জানা
যাচ্ছে, কোন ট্রেনে কত বুকিং হচ্ছে, সেই ব্যাপারে তাদের কাছে নিয়মিত খোঁজখবরও নিচ্ছেন রেলের আধিকারিকেরা। শুধু
তাই নয়। লকডাউনের পর ধাপে ধাপে সারা দেশে পরিষেবা চালু হলেও নির্ধারিত সব স্টপেজে
ট্রেন নাও থামাতে পারে রেলমন্ত্রক। সরকারি সূত্রের খবর, এক্ষেত্রে
যেসব এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, নির্দিষ্ট
স্টপেজ থাকলেও সেই এলাকাগুলির স্টেশনে ট্রেন না থামানোর কথা ভাবছে রেলমন্ত্রক।
তবে যেহেতু আগামী ১৫ এপ্রিল এবং তার পরবর্তী যেকোনও তারিখের ট্রেনের টিকিট বুকিং
চালু আছে, তাই এহেন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সাধারণ
যাত্রীদের যাতে কোনওরকম সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই
ব্যাপারটিও নিশ্চিত করতে চাইছে রেলমন্ত্রক। জানা যাচ্ছে, এই
সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে শীঘ্রই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রেলমন্ত্রী পীযূষ
গোয়েল।
এমনিতেই লকডাউনের পর ট্রেন পরিষেবা চালু হলেও রেলযাত্রীদের
জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারির পথে হাঁটতে চলেছে মন্ত্রক। থার্মাল স্ক্রিনিং এবং
ফেস মাস্কের ব্যবহার আবশ্যিক করার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে রেল। এই পরিস্থিতিতে
লকডাউনের পর ‘লো অকুপেন্সি’ অর্থাৎ যাত্রী কম থাকার বিষয়টিও মাথায় রাখছেন
রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকেরা। লকডাউনের আগে করোনার জেরে লো-অকুপেন্সির কারণ
দেখিয়ে একের পর এক ট্রেন বাতিল করেছিল রেলমন্ত্রক। মনে করা হচ্ছে, লকডাউনের মেয়াদ ফুরনোর পর সেই একই পদ্ধতি ফের গ্রহণ করা হতে পারে। এক্ষেত্রে
জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে ITCTC
র কাছে রেলবোর্ডের ট্রেন
বুকিং সংক্রান্ত নিয়মিত খোঁজখবর রাখার বিষয়ে। লকডাউনের জেরে আগামী ১৪ এপ্রিল
পর্যন্ত রেলের সমস্ত PRS (প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন
সিস্টেম) কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে যাত্রীদের আইআরসিটিসির ওয়েবসাইট
ব্যবহার করে ই-টিকিট কাটতে হচ্ছে। যে কারণে টিকিট বুকিং সংক্রান্ত পুরো তথ্যই
রয়েছে IRCTC র কাছে। সেই তথ্যই এখন খতিয়ে
দেখছে রেলমন্ত্রক।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, রেলমন্ত্রক
কোনও লাভজনক সংস্থা না হলেও কার্যত ফাঁকা ট্রেন চালানো তাদের পক্ষে কোনওমতেই
সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রেলের অপারেটিং রেশিওর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকবে।
এই পরিস্থিতিতে কোনও ট্রেনে যদি পর্যাপ্ত যাত্রী না হয়, তাহলে
সেগুলি বাতিল করে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করতে পারে মন্ত্রক। যদিও রেলের পক্ষ থেকে
জানানো হয়েছে, ট্রেন বাতিল হলে যেসমস্ত যাত্রী ওই ট্রেনে
টিকিট বুকিং করেছিলেন, তাঁরা পুরো অর্থই ফেরত
পাবেন। কোনও ক্যানসেলেশন চার্জ কেটে নেওয়া হবে না।
সত্ত্বর আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের
হোয়াটসআপ গ্রুপে এক্ষুনি যুক্ত হয়ে যান
Whatsapp Group- AET Support Team 1- 👉
Whatsapp Group- AET
Support Team 2- 👉
Whatsapp Group- AET Support
Team 3- 👉
এই বিষয়টি যদি আপনি সরাসরি দেখতে চান তাহলে নীচে দেওয়া ভিডিওতে ক্লিক করুন ও
ভালো লাগলে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন।