এপ্রিলে লিটারে দশ টাকা কমেছে
কেরোসিনের দাম
রান্নার গ্যাসের পর রেশনের মাধ্যমে সরবরাহ করা কেরোসিনের দাম
লিটারে প্রায় ১০ টাকা কমিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এপ্রিল মাস থেকে বরাদ্দ হওয়া
কেরোসিনের ক্ষেত্রে এই নতুন দাম কার্যকর হবে। রাজ্য খাদ্য দপ্তরে বিজ্ঞপ্তি
অনুযায়ী, এপ্রিল মাসের বরাদ্দ কেরোসিন রেশন ডিলার
কলকাতায় লিটার প্রতি ২৭ টাকা ৮৪ পয়সা দরে বিক্রি করবেন। আগের মাসে এই
বিক্রয়মূল্য ছিল ৩৮ টাকা ৫৮ পয়সা। জেলাগুলিতেও কেরোসিনের বিক্রয়মূল্য আগের
তুলনায় লিটারে ১০ টাকার আশপাশে কমবে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
পরিবহণ খরচের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকার জন্য
জেলাভিত্তিতে কেরোসিনের দাম কম-বেশি হয়। তবে দাম কমানোর জেরে একটা সমস্যা তৈরি
হয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত থাকা আর্থিক বছরের
চতুর্থ কোয়ার্টারের বরাদ্দ কেরোসিনের একটা অংশ একেবারে শেষ লগ্নে তোলা হয়েছে। কলকাতা সহ রাজ্যের ২৩টি জেলায়
বেশ কিছু হোলসেলার এজেন্টকে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে প্রায় ৬১০০ কিলোলিটার কেরোসিন বরাদ্দ করে
খাদ্য দপ্তর। কারণ তখন না তোলা হলে ওই পরিমাণ কেরোসিনের বরাদ্দ নষ্ট হয়ে যেত।
তিনমাসের ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে কেরোসিনের বরাদ্দ দেয় কেন্দ্র। হোলসেল
এজেন্টরা ওই পরিমাণ তেল মার্চ মাসের শেষদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিভিন্ন ডিপো থেকে
তুলেছেন। এবার এপ্রিল মাসে তা ডিলারদের সরবরাহ করা হবে বিক্রির জন্য। ওই তেল আগের
মাসের বর্ধিত দামে কেনা হয়েছে। ফলে তা বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে।
অন্যদিকে, এপ্রিল মাসে তোলা কেরোসিনের
দাম কমে যাওয়ার জন্য লিটারে প্রায় ১০ টাকা কম দরে
বিক্রি হবে। এনিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে
ক্ষোভ-বিক্ষোভের আশঙ্কা করছেন ডিলাররা। ওয়েস্ট বেঙ্গল কেরোসিন ডিলার
অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অশোক গুপ্ত জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন রাজ্য সরকার এ
ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক। গ্রাহকদের কাছে পরিষ্কারভাবে এই দামের পার্থক্যের
ব্যাপারটা জানিয়ে দেওয়া হোক। আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ব্যাপকভাবে
পড়ে যাওয়ায় আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের
কেরোসিনের দাম কমানো উচিত ছিল বলে ডিলারদের সংগঠন মনে করে।
মার্চ মাসের কেরোসিনের বেসিক প্রাইস কেন্দ্রীয়
সরকার লিটারে ৩১ টাকা ৮৪ পয়সা হিসেবে
ঘোষণা করেছিল। এটা তখনই ২৩ টাকার আশপাশে করা উচিত ছিল। এপ্রিল মাসে কেন্দ্রীয়
সরকার কেরোসিনের বেসিক প্রাইস ঘোষণা করেছে লিটারে ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
পেট্রোল ও ডিজেলের মত জ্বালানি তেলের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কর আছে। কিন্তু
রেশনের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের উপর শুধু উপরের দুটি স্তরে ৫ শতাংশ হারে
জিএসটি আছে। বেসিক প্রাইসের সঙ্গে ওই জিএসটি ছাড়াও এজেন্ট ও ডিলারদের কমিশন,
পরিবহণ খরচ যুক্ত হয়ে কেরোসিনের বিক্রয়মূল্য ধার্য করে খাদ্য দপ্তর।
সত্ত্বর আপডেট পাওয়ার
জন্য আমাদের হোয়াটসআপ গ্রুপে এক্ষুনি যুক্ত হয়ে যান
এই বিষয়টি যদি আপনি
সরাসরি দেখতে চান তাহলে নীচে দেওয়া ভিডিওতে ক্লিক করুন ও ভালো লাগলে আমাদের
চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন।