নতুন রেশন কার্ড পেলেই মিলবে খাদ্য সামগ্রী


নতুন রেশন কার্ড পেলেই মিলবে খাদ্য সামগ্রী নির্দেশিকা জারি


ডাকযোগে পাঠানো নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড গ্রাহক দেখালেই তাঁকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি করল খাদ্যদপ্তর। খাদ্যদপ্তরের ডেটাবেসে ওই কার্ডটি অন্তর্ভুক্ত না হলেও রেশন ডিলারকে খাদ্য দিতে হবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন রেশন কার্ড দপ্তরের ডেটাবেসে অন্তর্ভুক্ত হতে কিছুটা সময় লাগার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।





দপ্তরের ডেটাবেসে না থাকা রেশন কার্ড নিয়ে সম্প্রতি জটিলতা তৈরি হয়। খাদ্যদপ্তর তদন্ত করে জানতে পারে, রেশন ডিলাররা প্রায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার নতুন রেশন কার্ড ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস যন্ত্রে নথিভুক্ত করেছেন যেগুলির ডেটাবেসে তো নেই, এমনকী বাস্তবে এগুলির কোনও অস্তিত্ব নেই। এর জন্য প্রায় একশো ডিলারকে শো-কজ করা হয়েছে। কিন্ত এই পরিস্থিতির মধ্যে ডেটাবেসে না থাকা রেশন কার্ডের জন্য খাদ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় কিছু প্রশ্ন উঠছে।





তবে খাদ্যদপ্তরের বক্তব্য, যে রেশন কার্ডগুলি ডেটাবেসে না থাকার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, সেগুলি গত নভেম্বর মাসে ডিলাররা নথিভুক্ত করেছিলেন। তখন গ্রাহকদের কাছে ডাকযোগে রেশন কার্ড পাঠানোর ব্যবস্থা শুরু হয়নি। ওই সময় গ্রাহকদের খাদ্যদপ্তরের অফিস থেকে রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে হয়েছিল। বিশেষ শিবির চালিয়ে নতুন রেশন কার্ডের আবেদনপত্র নেওয়ার পর গ্রাহকদের বাড়িতে ডাকযোগে রেশন কার্ড পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।







নতুন রেশন কার্ড অনলাইনে ডেটাবেসে তোলার কাজটি খাদ্যদপ্তরকে করতে হয়। ডেটাবেসে কার্ড উঠে গেলে তা রেশন ডিলারের ই-পস মেশিনে নথিভুক্ত করতে কোনও সমস্যা হয় না। ডেটাবেসে না থাকা কার্ড বিশেষ ব্যবস্থায় ই-পস যন্ত্রে নথিভুক্ত করতে পারেন রেশন ডিলাররা। সেক্ষেত্রে একসঙ্গে পরিবারের সবকটি কার্ড নথিভুক্ত হয় না। খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, বিভিন্ন অফিসে কর্মী সংখ্যা কম থাকা সহ বিভিন্ন কারণে নতুন কার্ড ডেটাবেসে তুলতে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। ইতিমধ্যে ওই কার্ড গ্রাহকের কাছে পৌঁছে গেলে তিনি যাতে খাদ্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই দফায় ৩০ লক্ষেরও বেশি নতুন কার্ড ডাকযোগে পাঠানো হচ্ছে। এত বেশি কার্ড একসঙ্গে পাঠানোর জন্য ডেটাবেসে তুলতে সময় লেগে যাচ্ছে। ডেটাবেসে না উঠলেও এই দফার কার্ড নিয়ে কোনও জটিলতা হবে না বলে খাদ্যদপ্তরের দাবি। এবার বাধ্যতামূলকভাবে আবেদনকারীদের আধার নম্বর নেওয়া হয়েছে। খাদ্যদপ্তর নিজেই নতুন কার্ডে আধার নম্বর সংযুক্ত করে দিচ্ছে। আগে যে কার্ডগুলি পাঠানো হয়েছিল তাতে অনেক ক্ষেত্রে আধার নম্বর ছিল না। এর সুযোগ নিয়ে অস্তিত্বহীন রেশন কার্ড ই-পস যন্ত্রে নথিভুক্ত করা হয়।





তবে রেশন ডিলারদের সংগঠনের বক্তব্য, ডেটাবেসে না থাকা রেশন কার্ডে খাদ্য দেওয়ার যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে বিভ্রান্তি আছে। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলাস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, খাদ্যদপ্তরের কাছে এব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তা না হলে এই ধরনের কার্ডের খাদ্য দিয়ে পরে ডিলাররা সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন। খাদ্যদপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাসের বরাদ্দ থেকে ওই ধরনের কার্ডের গ্রাহকদের খাদ্য দিতে হবে ডিলারদের। পরে ওই খাদ্য অতিরিক্ত বরাদ্দ হিসেবে ডিলারদের দিয়ে দেওয়া হবে। এটা করতে গিয়ে খাদ্য দপ্তরের ডেটাবেসে থাকা রেশন গ্রাহকরা কোনও মাসে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হতে পারেন, এমন আশঙ্কাও ডিলারদের আছে।


এই বিষয়টি যদি আপনি সরাসরি দেখতে চান তাহলে নীচে দেওয়া ভিডিওতে ক্লিক করুন ও ভালো লাগলে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন।






Post a Comment

0 Comments