How to purchase and use a Fastag for your car
১৫ ডিসেম্বর থেকে ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক, এই
নিয়মগুলো না জেনে রাখলে অসুবিধায় পড়বেন
নিশ্চই ভাবছেন কোথা থেকে কিনবেন FASTag?
তাহলে জেনে
নিন সহজ উপায়-----
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে সারা দেশের বিভিন্ন টোল
প্লাজায় গাড়ির লাইন কমবে। সরকার ওই দিন থেকে ফাসট্যাগ কর্মসূচি চালু করতে চলেছে।
পরিবহণ ও সড়ক মন্ত্রক জানিয়েছে ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক উভয় ধরনের গাড়িতেই
ফাসট্যাগ ইনস্টল করা আবশ্যিক। টোল প্লাজাগুলিতে দীর্ঘ লাইন এড়াতে টোল সংগ্রহ
ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তাহলে প্রথম আপনাকে জানতে হবে ফাস্ট্যাগ (FASTag) কি?
এককথায়- গাড়ির ডিজিটাল তথ্যসম্বলিত ট্যাগ বা পাতলা কার্ড।
ফাসট্যাগ একধরনের ডিজিট্যাল ট্যাগ
যা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। ফাসট্যাগ লাগানো
গাড়িগুলির লাইনে দাঁড়ানোর দরকার হবে না। গাড়ি চলাকালীনই প্রিপেইড ব্যাঙ্ক
অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা কেটে নেওয়া হবে। ক্যাশলেস উপায়ে এই লেনদেন হবে ন্যাশনাল
ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (এনইটিসি) প্রোগ্রামের আওতায়।

সিস্টেমটি কীভাবে কাজ করবে?
এককথায়- রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) প্রযুক্তিতে
কাজ করবে ফাস্ট্যাগ। টোল প্লাজার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সেই ট্যাগ স্ক্যান হতেই
পাসিং গেট খুলে যাবে।
একটি FASTag
সক্ষম টোল গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের সাথে
সংযুক্ত আরএফআইডি স্টিকারটি পড়বে, বিশদটি ক্যাপচার করবে এবং
যানটি পাস করার অনুমতি দেওয়ার আগে কোনও লেনদেন বৈধ করার জন্য তাদের ব্যাংকে জমা
দেবে।
এটি গাড়ির কোথায় লাগাতে হবে:
গাড়ির সামনের কাচে
(উইন্ডস্ক্রিন)। নতুন গাড়ি তৈরির সময়েই এই ট্যাগ লাগানো বাধ্যতামূলক। গাড়ি
সংস্থাকেই সেই দায়িত্ব নিতে হবে। পুরনো গাড়ি হলে ফাস্ট্যাগ কেনার দায়িত্ব
মালিকের। ৫ বছরের জন্য চালু থাকবে একটি ট্যাগ।
কোন কোন ব্যাঙ্কে ফাসট্যাগ মিলবে?
এনইটিসি নথিভুক্ত ২৩টি ব্যাঙ্কের নির্বাচিত শাখায় ফাসট্যাগ পাওয়া যাবে। এর
মধ্যে রয়েছে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক। এই ব্যাঙ্কগুলির
কোনও একটিতে অ্যাকাউন্ট থাকলে সহজেই ফাসট্যাগ পাওয়া যাবে এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের
সঙ্গে তা লিংক করার সুযোগও পাওয়া যাবে।
এইচডিএফসি
ব্যাঙ্ক
মার্কেট
ভ্যালুর দিক থেকে দেখলে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাঙ্ক এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের
ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকরা ফাসট্যাগ কিনতে পারবেন। অ্যাকউন্ট হোল্ডারকে ব্যাঙ্কের
নিজস্ব ফাসট্যাহ পেডে গিয়ে সাইন ইন করতে হবে। এরপর গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর, মালিকের নাম,
গাড়ির ধরন ইত্যাদি তথ্য ফিল আপ করতে হবে।
এর পর এই
সম্পর্কিত নথিগুলির সফট কপি আপলোড করতে হবে। পেমেন্টের আগে একবার গোটা
অ্যাপ্লিকেশন রিভিউয়েরও সুযোগ পাওয়া যাবে। ফাসট্যাগ কার্ড পৌঁছে যাবে গ্রাহকের
বাড়িতেই।
আইসিআইসিআই
ব্যাঙ্ক
দেশের অন্যতম
আরেকটি বৃহৎ বেসরকারি ব্যাঙ্কের ওয়েবপেজেও সরাসরি ফাসট্যাগের জন্য আবেদনের সুযোগ
রয়েছে। অ্যাপেল নাউ-য়ে ক্লিক করলে আবেদনের পেজে পৌঁছনো যাবে। এরপর নাম, জন্মতারিখ,
ইমেল, মোবাইল নম্বর সহ ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে
হবে। পেজের নিচে কোনও একটি আইডি প্রুফ নির্বাচন করতে হবে।
এর পর ঠিকানা
এবং গাড়ির বিবরণ জানতে চাওয়া হবে। সব শেষে গ্রাহককে পেমেন্ট করতে বলা হবে। এ
ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌছে যাবে ফাসট্যাগ।
স্টেট
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া
দেশের বৃহত্তম
এই ব্যাঙ্কটির কোনও অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনের সুযোগ রাখেনি। তবে ব্যাঙ্কের ওয়েবসাইট
থেকে জানা গিয়েছে, ১৮০০-১১-০০১৮, কাস্টমার কেয়ারের এ নম্বরে ফোন করলে
ব্যাঙ্কের একজিকিউটিভ নিকটতম পয়েন্ট অফ সেলে পৌঁছনোর ব্যাপারে সাহায্য করবেন।
সেখানে পৌঁছে ফাসট্যাগের আবেদন করা যাবে।
পাঞ্জাব
ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক
পিএনবি দেশের
সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাঙ্কের অন্যতম। তারাও ওয়েবসাইট থেকে ফাসট্যাগের আবেদনের সুযোগ
দিচ্ছে। এখানেও নিয়মাবলী আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের মতই। নিজের ও গাড়ির সম্পর্কে
বিস্তারিত তথ্য দেবার পর প্রয়োজনীয় সফট কপি আপলোড করে পেমেন্ট করতে হবে।
খরচ কত লাগবে এই ট্যাগ কিনতে?
ফাস্ট্যাগের দাম ৪০০-৫০০ টাকা। এর
মধ্যে ফেরতযোগ্য সিকিউরিটি ডিপোজিট ২০০ টাকা। ফাস্ট্যাগ ইস্যুর জন্য লাগবে ১০০
টাকা এবং ফাস্ট্যাগ ব্যবহারের জন্য দিতে হবে ১০০ টাকা। তবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
বিনামূল্যে ফাস্ট্যাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ব্যাঙ্ক থেকেও টাকা দিয়ে
কেনা যাবে এই ট্যাগ। তবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বিশেষে সেই দাম আলাদা হতে পারে।
রিচার্জ কোথায় করা যাবে:
ব্যাঙ্কই ব্যবস্থা করে দেবে আলাদা
ওয়ালেটের। সেখানেই টাকা ভরাতে হবে। টোল দেওয়ার সময় ওই ব্যালান্স থেকেই তা কেটে
নেওয়া হবে। টাকা ভরানো যাবে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, নেফ্ট,
আরটিজিএস, নেট ব্যাঙ্কিং ইত্যাদির মাধ্যমে।
যদি একই রাস্তা দিয়ে বারবার যাতায়াত করতে হয়, তা হলে নেওয়া
যাবে মাসিক পাসও। মাইফাস্ট্যাগ অ্যাপেরও সুবিধা নেওয়া যাবে।
কোন কোন ডকুমেন্ট লাগবে:
ব্যাঙ্কের কাছ থেকে পাওয়া যাবে
ফাস্ট্যাগের আবেদনপত্র। গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, মালিকের পাসপোর্ট
সাইজ ছবি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির
ধরনের (যাত্রিবাহী, বাণিজ্যিক) সঙ্গে মিলিয়ে জমা দিতে হবে
কেওয়াইসি নথি।
গাড়ি বিক্রি করলে বা চুরি হয়ে গেলে কি হবে?
গাড়ি বিক্রি করে দিলে ব্যাঙ্কে
গিয়ে সেটির ফাস্ট্যাগের সঙ্গে যুক্ত ওয়ালেট বন্ধের আর্জি জানাতে হবে। একই ব্যবস্থা
নিতে হবে গাড়ি চুরি গেলেও।
ফাস্ট্যাগ লাগালে কী কী সুবিধা হবে?
১) FASTag গাড়িতে
লাগালে টোলে দাড়াতে হবে না আপনাকে। সুতরাং অনেকটা সময় বাঁচবে আপনার।
২)
ট্রান্জাকশন হলে এসএমএস মাধ্যমে আপনাকে সজাগ করা হবে।
৩) অনলাইনে
রিচার্জ করতে পারবেন ফাস্ট্যাগ।
৪) টাকা নিয়ে যাত্রা করার কোনো প্রয়োজন হবে না।
৫) FASTag ওয়েবপ্রোটাল
মাধ্যমে লগ ইন করতে পারবেন।
এ
ছাড়া গুগল প্লে স্টোর থেকে মাইফাস্ট্যাগ অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। এখান থেকেই
জানতে পারবেন কাছাকাছি কোন কেন্দ্র থেকে এই ট্যাগ কেনা যাবে। অ্যাপ ডাউনলোড করার
পর ‘বাই এনএইচএআই ফাস্ট্যাগ’ অপশনে ক্লিক করলে ‘নিয়ারবাই পয়েন্ট অব সেল’ অপশনটা
পাওয়া যাবে। তার পর নিজের ‘স্টেট ও সিটি’ সিলেক্ট করলেই ফাস্ট্যাগ কেন্দ্রের খোঁজ
মিলবে।
গুগুল প্লেষ্টোর থেকে অ্যাপ টি ডাউনলোড করুন- 👉
মনে রাখা জরুরি:
দেখে নিতে হবে,
ট্যাগ যেন গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে এমন জায়গায় থাকে, যাতে টোল প্লাজ়ার রিডারে ট্যাগের তথ্য ধরা পড়ে। এক এক গাড়ির নকশা একেক
রকমের। পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে কোথায় ট্যাগ লাগালে ভাল হয়, ডিলারদের
জিজ্ঞাসা করে নেওয়াই ভাল।
এই পোষ্টটা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন
0 Comments